সন্তান জন্মদানে যা জানা দরকার

3 (0)

Salute e fitness | 2.2MB

Descrizione

প্রতিটি নারীর জন্য মাতৃত্বকে গৌরবের ও মধুরতম অভিজ্ঞতা বলা হয়ে থাকে। তবে অনাগত সন্তান জন্মদানের এ সময়টাতে প্রতিটি নারীই অনাকাঙ্খিত ঘটনার শঙ্কায় থাকেন। এ কারণে প্রতিটি মা সন্তান জন্মদানে শেষ মুহূর্তটিতে ঘরে থাকার চেয়ে হাসপাতালেই কাটাতে চান।
একজন নারীর জন্য অবশ্য সন্তান জন্মদান যতোটা মধুর, ততোটাই কষ্টের। প্রসব ব্যথার যন্ত্রণা তো আছেই, সন্তান কখন দুনিয়ার মুখ দেখবে সেটা নিয়েও উদ্বেগ থাকে প্রতিটি মায়ের মন। প্রায় প্রতিটি মায়েরই আশঙ্কা থাকে, চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়ার আগেই হয়তো সন্তান প্রসব হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে মার্কিন চিকিৎসক এবং প্রসূতি ও শিশু বিশেষজ্ঞ রিচেল ফিটজ বলছেন, শেষ মুহূর্তের এ উদ্বেগ নারীকে শুধু শঙ্কাতেই ফেলে। আসলে সন্তান জন্ম নেওয়ার বেশ কিছু সময় আগেই বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। প্রায় ৩১ বছর ধরে প্রসূতি বিষয়ে কাজ করা এ বিশেষজ্ঞ বলছেন, আগ মুহূর্তের সচেতনতা অহেতুক উদ্বেগকে অনেকটাই কমিয়ে দেবে। জেনে নেওয়া যাক রিচেলের পরামর্শগুলো
প্রসব ব্যথা বাড়তে থাকবে
সন্তান জন্মদানের অন্তত ৩ দিন আগে থেকেই প্রসব যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। তবে হঠাৎ ব্যথার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অনেক মা ভাবেন এখনই বোধহয় কাঙ্খিত মুহূর্তটি চলে এসেছে। এ কারণে অনেকেই দ্রুত হাসপাতালে যেতে চান। তবে রিচেলের মতে, সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখার আসল মুহূর্তটি সেটা নয়; মূলত গর্ভাদ্বার নরম ও টানটান হয়ে যায় বলেই ব্যথার পরিমাণও বাড়তে থাকে। এ ছাড়া প্রসবের জন্য সন্তানের অবস্থানেরও পরিবর্তন ঘটে এ সময়। রিচেলের পরামর্শ হচ্ছে, এ সময়টাতে বেশি নড়াচড়া না করে বাড়িতে বিশ্রামে থাকাই মায়ের জন্য ভালো।
প্রসবের সময়
প্রসবের জন্য গর্ভাদ্বার প্রস্তুত হলে সন্তান জন্মদানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এ সময় জরায়ুর মুখও অন্তত ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে যায়। শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোনের নিঃসরণ ঘটে। এ সময় নারীর মস্তিষ্কে ভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হয়। শরীরের পেশীগুলোতেও পরিবর্তন ঘটে। রিচেলের মতে, পেশীগুলো বেশ শক্ত হয়ে যায়। তাই প্রতিটি মাকে এ সময় বেশি করে শ্বাসগ্রহণ ও ত্যাগ করতে হবে।
ব্যথা মানেই প্রসব নয়
রিচেল বলছেন, প্রসবকালীন মুহূর্ত আসলে ধৈর্যধারণের সময়। কাজেই ব্যথা উঠলেই হাসপাতালে গেলে সন্তান প্রসব হবে এমন ধারণা ভুল। অনেক নারী এ সময় তাড়াহুড়ো করে বলে সিজারের ছুরি কাঁচির নিচে নিজেদের ফেলে দেন। তবে কিছুটা ধৈর্য ধরলেই হতে পারে স্বাভাবিক প্রসব।
প্রসবকালে শ্বাস-প্রশ্বাস
প্রসবকালীন শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে বাতাস ঢোকানো সন্তানের মায়ের জন্য ভালো। অনেকে গ্যাসের মাধ্যমে অক্সিজেনও গ্রহণ করে থাকেন। এর ফলে অনেক নারীর মধ্যে মাদকতার অনুভূতির সৃষ্টি করে। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়! কারো কারো আবার বমি ভাবেরও উদ্রেক করে। অনেকে আবার প্রসব ব্যথা এড়াতে ডায়ামরফিনের মতো ড্রাগও ব্যবহার করেন। রিচেল বলছেন, এতে নারী নিস্তেজ হয়ে ঘুমের রাজ্যে পৌঁছে গেলেও ব্যথা থেকে আসলে পরিত্রাণ মেলে না। বরং মা নিস্তেজ হওয়ায় সন্তানও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ফলে প্রসব প্রক্রিয়া আরো দীর্ঘায়িত হয়।
গর্ভাদ্বার যখন ভাঙে
প্রসবের আগ মুহুর্তে গর্ভাদ্বার ফেটে যায়। যাকে আমরা ‘পানি ভাঙা’ বলে থাকি। এ সময় স্পষ্টই এ আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ যারা লেবার রুমে থাকেন তাদের কানে ‘পপ’ ধরনের শব্দ কানে আসে। এরপরই বুঝতে হবে কাঙ্খিত সময় এসেছে। পানি ভাঙার ফলে প্রসবকালীন মায়ের মধ্যে উষ্ণ অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তাছাড়া এ পানি সন্তানকে সহজেই প্রসবের জন্য ভূমিকা রাখে।
প্রসবে চাপ প্রয়োগ
প্রসবকালীন নারীর ভেতর থেকেই চাপ বোধের সৃষ্টি করে। এ চাপ প্রসবের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বলছেন রিচেল ফিটজ। বাইরে থেকে ধাত্রী বা চিকিৎসকের জন্য সন্তান বের করা অনেক সহজ করে দেয় এ চাপ।
পরিশেষে
সব কিছুর পর রিচেল বলছেন, সন্তান জন্মদান যন্ত্রণাদায়ক হলেও মায়ের আশঙ্কার কিছু নেই। এ সময় একজন মা মনোসংযোগ এবং দীর্ঘ শ্বাস-প্রশ্বাস প্রসবকালীন মুহূর্তকে খুব সংক্ষিপ্ত করে তুলতে পারে।

Show More Less

Cosa c'è di nuovo সন্তান জন্মদানে যা জানা দরকার

#Bug Fixed

Informazione

Aggiornata:

Versione corrente: 1.3.4

È necessario Android: Android 5.1 or later

Rate

Share by

Potrebbe piacerti anche