মুখ ফর্সা,কিন্তু হাত-পা শ্যামলা কিংবা সামান্য কালচে বর্ণের। দেখতে ত একটু খারাপই লাগে তাই না? আপনার মুখের তুলনায় হাত পায়ের রঙ যদি একটুখানি কালো হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই বেশ লজ্জায় পড়ে যান মাঝে মাঝে? সবসময় নিশ্চয়ই ফুলহাতা জামা কাপড় পরে পুরো হাতদুটো কিংবা পুরোটা ঢেকে রাখে এমন জুতো পরে পা দুটো ঢেকে রাখার চেষ্টা করেন! আর দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই! কেননা আজ আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো আপনার প্রিয় মুখের মতই হাত পা ফর্সা করার দারুণ ৩টি কৌশল!
১. লেবুর রস হাত পায়ের রঙ ফর্সা করে
আমরা জানি লেবুর রসে আছে এমন এক ধরনের সাইট্রিক অ্যাসিড,যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।তাই লেবুর রস নিয়মিতভাবে হাত পায়ে ব্যবহার করলে হাত পাও হয়ে উঠবে মুখের মতই উজ্জ্বল।
উপকরণ –
৩-৪ ফোটা লেবুর রস।
পদ্ধতি –
লেবুর রস তুলোয় করে হাতে আর পায়ে লাগিয়ে নিন আর রেখে দিন প্রায় ১০ মিনিট মতো।তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।তবে এই কাজটি অবশ্যই আপনাকে করতে হবে রাতের বেলায়।কারণ,লেবুর রস লাগিয়ে আপনি রোদের মধ্যে গেলে ত্বকের রঙ ফর্সা হওয়ার বদলে উল্টো কিন্তু কালো হয়ে যেতে পারে!
২. ত্বক ফর্সা করতে লাগান মধু ও শসা
মধু ও শসার রস একসাথে মিশিয়ে তা ত্বকে ব্যবহার করুন।আপনার হাত পা শুধু উজ্জ্বলই হবে না,বরং হাত পায়ের খসখসে ভাব দূর করে তাকে করে তুলবে কোমল ও মসৃণ।
উপকরণ –
৩ চামচ মধু,৫ চামচ শসার রস।
পদ্ধতি –
শসা থেকে আগে রস বের করে নিন।তারপর তার সাথে মধু মিশিয়ে নিন।এবার এই মিশ্রণ হাতে আর পায়ে মাখিয়ে হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করে নিন।তারপর ধুয়ে নিন।এটা সপ্তাহে দু’দিন করুন।
৩. টম্যাটো ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন!
রূপচর্চায় টম্যাটো ব্যবহার হয়ে থাকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে-জানেন নিশ্চয়ই?তাই আপনার হাত-পায়ের কালচে ভাব দূর করে এগুলোকে উজ্জ্বল ও চকচকে করে তুলতে টম্যাটো তো ব্যবহার আপনাকে করতেই হবে!
উপকরণ –
গোটা একটা টম্যাটো পেস্ট।
পদ্ধতি –
টম্যাটো পেস্ট করে সেটি হাতে ও পায়ে লাগিয়ে রাখুন টানা ১৫ মিনিট।এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।অল্প কদিনের মধ্যেই পরিবর্তনটা আপনি নিজেই টের পাবেন!
ব্রণ সমস্যায় যে পাঁচটি কাজ ভুলেও করবেন না!
ব্রণর সমস্যায় একবারও পড়েননি এমন মানুষ হাতে গোনা৷ এই সমস্যা কখনও প্রকট হয়ে দেখা দেয়, কখনওবা অজান্তেই হয়ে যায় ভ্যানিশ৷ কখনওবা কারও কারও মুখে নিজেদের ছাপ রেখে যায় এই ব্রণ৷ আর এর হাত থেকে বাঁচতে কত যে কতো খরচ করে থাকে সবাই তার হিসেব দেওয়া ভার৷ কিন্তু জানেন কি ব্রণ মুখে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়? রইল তেমনই ৫টি টিপস
১) সর্বপ্রথম মাথায় রাখতে হবে যে এই ব্রণ কোনওভাবে যেন আঘাত না পায়৷ বিশেষ করে আপনার নখ এর থেকে দূরে রাখতে হবে৷ নখের খোঁচা বা আঘাতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমনকি বিশ্রী রকমের দাগও হয়ে যেতে পারে আপনার মুখে৷
২) অনেকেরই বার বার মুখ পরিষ্কার করার অভ্যাস থাকে৷ এর জন্য ঘন ঘন বাজার চলতি ফেস ওয়াশ ব্যবহার করে ঘষে ঘষে মুখ ধুয়ে থাকেন৷ এর ফলে পিম্পলগুলি থেকে রক্ত বেরোতে পারে বা ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে এমনকি দাগও থেকে যেতে পারে৷ তাই পিম্পল বা ব্রণ হলে সাবধানে মুখ ধুতে হবে এবং বেশিবার ধুলে চলবে না৷
৩) ব্রণ দূর করতে অনেকেই নানা রকম ক্রিম থেকে ঘরোয়া টোটকা বা পেস্ট ব্যবহার করে থাকে৷ চলে নানা এক্সপেরিমেন্টও৷ কিন্তু এই সময় ত্বককে বিশ্রাম দিন এবং অযথা বিভিন্ন জিনিস লাগিয়ে বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলবেন না৷
৪) পেট অপরিষ্কার থাকা ব্রণ হওয়ার পিছনে বড় ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়৷ তাই খাবার দাবার বুঝে খান এবং অবশ্যই শরীর থেকে নিয়মমতো বর্জ্য বের করুন৷ পেট পরিষ্কার হলে তার প্রতিফলন মুখে আপনিই টের পাবেন৷
৫) মনে করা হয় পেটের পাশাপাশি মাথাও যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলেও কিন্তু ব্রণ হতে পারে৷ তাই খুশকি যেন মাথায় একেবারেই না হতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে আপনাকেই৷