যেসব খাবারে শিশুর শরীর আর বুদ্ধি বাড়ে

3 (0)

Kesihatan & Kecergasan | 2.4MB

Penerangan

টিভি পর্দায় বাহারি খাবারের বিজ্ঞাপনে কারও খিদে বাড়ুক আর না বাড়ুক, শিশুরা কিন্তু তাদের মগজে চিপস, চকলেট আর পিৎজার মজাদার প্রলোভনটি জমিয়ে রাখে। তাইতো রাস্তায় বের হলে তারা বলে ওঠে চকলেট দাও, বার্গার দাও, কুড়কুড়ে অথবা পটেটো চিপস দাও। তাদের এই আবদারে না করলে পরের দৃশ্য যে কী হতে পারে তা সহজেই আন্দাজ করা যায়। তাই হরহামেশাই শিশুদের এই ইমোশনাল আবদারের নির্মম শিকার হতে হয়। নির্মম এ কারণে যে, শিশুর নাছোড়বান্দা অনুরোধে ওর হাতে যা তুলে দেয়া হয় তার পরিণতি অনেক ভয়াবহ। কেননা বিজ্ঞাপনে অনেক চটকদার কথা থাকলেও প্যাকেটজাত এসব পণ্যে কোন পুষ্টি থাকে না। এসব পুষ্টিহীন ‘জাঙ্ক ফুড’ শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশে এক বড় অন্তরায়।
শিশুর প্রথম ৫ বছরে প্রায় ৮৫ ভাগ বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটে। ফলে শিশু বাড়ন্ত অবস্থায় ভাষা, রঙ, শব্দ, সংখ্যা সহজে বুজতে পারে। শুধু তাই না, শিশু সামাজিক মেলামেশা ও ছোট-খাটো দক্ষতাও শিখতে শুরু করে। শিশুর এই বুদ্ধিবিকাশে অনেকগুলো কারণ সহায়ক হিসাবে কাজ করে। পুষ্টিকর খাবার তার মধ্যে অন্যতম। সুষম খাবার শিশুর শারীরিক ও মানসিক গড়নে অনিবার্য বিষয়। শিশুর জন্য অনিবার্য এই খাদ্য দর্শন আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু বাস্তবায়ন যে কত কঠিন তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে।
তাই বলে কি হাল ছাড়া যাবে? কখনোই না। কেননা খাদ্য প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান ক্লান্তিহীনভাবে চটকদার বিজ্ঞাপনের অজুহাতে যদি আপনার শিশুর হাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার তুলে দিতে সফল হয়, তাহলে আপনি সন্তানের স্বাস্থ্যময় জীবনের জন্য ধৈর্যহারা হবেন কেন?
ড.সামিরা আরাফাত বলেন, শিশুর বাড়ন্ত অবস্থায় শরীর আর ব্রেইন দুটোর জন্য যথাযথ খাবার দরকার। বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল-সবজি, মাছ কিংবা আঁশ জাতীয় খাবার শিশুর শরীর গঠনতো বটেই বুদ্ধিও বাড়ায়। আমাদের হাতের কাছে সহজেই অনেক খাবার পাওয়া যায়। অভিভাবকদের জানা দরকার কোন খাবারগুলোর পুষ্টিমান অনেক বেশি শিশুবান্ধব।
শস্য জাতীয় খাবার
ব্রেইনকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে শস্য জাতীয় খাবার। আটা বা কিংবা ছাতু দিয়ে তৈরি খাবার দিতে পারেন আপনার শিশুকে। রুটি, বিস্কুট বানিয়ে বৈচিত্র্য যোগ করলে শিশু আগ্রহী হতে পারে। তবে প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
স্ট্রবেরি
আজকাল দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে ভিনদেশি ফল স্ট্রবেরি। আর কালো জামতো আছেই। এই ফলগুলোতে আছে উঁচু মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, যা শিশুর স্মরণশক্তি এবং মেধা বাড়াতে সাহায্য করে। সরাসরি খেতে না চাইলে জুস বানিয়ে দিতে পারেন অথবা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে।
ডিমের নানা পদ
শিশুদের কাছে ডিম খুবই পছন্দের খাবার। ডিমে আছে প্রোটিন। সেইসঙ্গে আছে ভিটামিন বি টু, জিঙ্ক, আয়রন, মিনারেল আর কপার। সেদ্ধ এবং মামলেটসহ নানা পদে আর ঢঙে শিশুর খাবারে ডিম যুক্ত করুন।
দই-লাচ্ছি
দইয়ে আছে প্রবােয়াটিক নামে এক অসামান্য উপাদান যা হজমে ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক পুষ্টিগুণ। যেসব শিশু জুস খেতে পছন্দ করে তাদের দইয়ের লাচ্ছি বানিয়ে দিতে পারেন। দইয়ের সাথে কয়েক টুকরো ফল যোগ করতে পারেন।
কাঁটাবিহীন মাছ
মাছে আছে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি। শিশুর অন্যতম ব্রেইন ফুড, কিন্তু শিশুরা সহজে মাছ খেতে চায় না। কাঁটা কম এরকম মাছ দিয়ে শিশুর অভ্যাস তৈরি করুন। সামুদ্রিক মাছে কাঁটা কম এবং পুষ্টিগুণ অনেক। তবে ভাঁজা মাছে পুষ্টিগুণ অনেকটা হারিয়ে যায়।
বাদাম
বুদ্ধিবিকাশে ভালমানের ফ্যাট খুবই দরকারি। বিভিন্ন জাতের বাদামে আছে ভালো মানের ফ্যাট। সেইসাথে প্রোটিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম। শরীরের সাথে এই উপাদানগুলো শিশুর বুদ্ধিও বাড়ায়। এছাড়া পিনাট বাটার বাজারে পাওয়া যায়। রুটি বা পাউরুটির সাথে যোগ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

Show More Less

Yang Baru যেসব খাবারে শিশুর শরীর আর বুদ্ধি বাড়ে

বাগমুক্ত করা হয়েছে এবং UI উন্নত করা হয়েছে

Maklumat

Dikemas kini:

Versi Semasa: 1.3.1

Memerlukan Android: Android 4.4 or later

Rate

Share by

Awak juga mungkin menyukai