প্রতিদিনের কাজের চাপে মাথা ব্যাথা, পিঠব্যাথা বা পা-ব্যাথা হতেই পারে। আর এ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধ খেয়ে থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ব্যাথা কমানোর জন্য প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু প্রতিষেধক ব্যবহার করা যেতে পারে।
কারই বা ভালো লাগে ঠাণ্ডার কারণে কফ, সর্দি আর কাশি নিয়ে সারাদিন কাটাতে! প্রতিবছর শীতকালেই আমাদের অনেকেরই ঠাণ্ডা লেগে যায় তাই এ সময় ঠাণ্ডা লাগলে কি করা উচিত তা আমাদের সবারই জানা দরকার। জানা থাকলে ঠাণ্ডা লাগার চিকিৎসা ঘরে বসেই করা যায়।
চলুন জেনে নেয়া যাক সহজেই এই শীত কালে ঠাণ্ডা লাগার চিকিৎসা আমরা কিভাবে ঘরে বসেই করতে পারি।
৩-৪ টুকরো আদা, ২-৪ কোয়া রসুন, ২-৩ টি দারুচিনি, ৫-৬ টি গোলমরিচ একটি বাটিতে নিয়ে শিলনোড়া দিয়ে থেঁতলে তারপর এই মিশ্রিত উপাদান দিয়ে চা বানিয়ে প্রতিদিন ১-২ বার পান করুন। এটি পান করলে কফ ও কাশির পরিমাণ এবং সর্দি দিয়ে নাক বন্ধের সমস্যা কমে যায়।
কফের পরিমাণ বেশী থাকলে ২ টি মধ্যম আকারের পেয়াজ, এক গ্লাস পানি এবং এক টেবিল চামচ মধু নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে নিন এবং কফ বেশী থাকলে প্রতিদিন পান করুন।
ঠাণ্ডা লাগলে অনেকেই কাশির জন্য ঘুমাতে পারেন না এজন্য এক গ্লাস গরম দুধে এক চা চামচ ভালো মানের হলুদের গুঁড়ো এবং আদার রস মিশিয়ে পান করুন এটি খেলে কাশির পরিমাণ কমে যায়। তবে গলায় কফ বেশী থাকলে গরম দুধের পরিবর্তে গরম পানি ব্যবহার করুন।
ঠাণ্ডা লাগলে অনেকের কফ জমে গলা বসে থাকে যা কখনো কখনো বেশ কষ্টকর। তাই গলায় সবসময় কফ জমাট হয়ে থাকলে মাঝে মাঝে কয়েকটি দারুচিনি চিবোতে পারেন, এতে গলায় কফ জমে থাকার পরিমাণ হ্রাস পায়।
ঠাণ্ডা লাগলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন প্রতিদিন । সারাদিনে কমপক্ষে ১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করুন। কণ্ঠ নালীকে আর্দ্র রাখতে বেশী বেশী পানি খাওয়া জরুরী। পানি কম খেলে গলায় কফের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
কারো কারো ঠাণ্ডার সময় গলার টনসিলে অনেক ব্যথা হয় এমনকি কথা বলাও কখনো কখনো কঠিন হয়ে যেতে পারে। সাধারণত টনসিলে প্রদাহ হবার কারণে এমন ব্যথা হয় এজন্য গরম পানি নিন তাতে এক টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়ো বা এক টেবিল চামচ হলুদের রস মিশান এবং উষ্ণ অবস্থায় পান করুন তবে অবশ্যই উষ্ণতা গলায় সহনীয় হতে হবে।
টনসিলের ব্যথা ও গলার কফ কমাতে অল্প একটু খানি মাথা ব্যথায় ব্যবহার করার উপযোগী বাম গলায় মালিশ করুন এরপর ইস্ত্রি দিয়ে একটি মোটা কাপড় গরম করুন এবং সহনীয় তাপমাত্রায় কাপরটি দিয়ে গলায় সেক নিন।
রাতে কাশির জন্য ঘুম হচ্ছেনা? তাহলে আদা কুচি কুচি করে কেটে তা অল্প একটু খানি লবণ দিয়ে আস্তে আস্তে চিবিয়ে খান এটি খেলে কাশিতে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি গলার কফের পরিমাণও হ্রাস পায়।