অনেক কাল আগে আরব্য দেশে শারিয়ার নামে এক দুষ্ট অত্যাচারী বাদশা বসবাস করত। তিনি তার জীবনের এক নির্মম ঘটনার কারনে প্রতিরাতে একজন করে কুমারী নারীকে বিয়ে করতেন আর ভোর হবার আগেই তাদেরকে হত্যা করতেন। এভাবে প্রতিরাতে একজন করে কুমারী নারী হত্যা করতে করতে শহরে আর কোন কুমারী অবশিষ্ট থাকল না, শুধু উজিরের দুই মেয়ে বাদে। উজিরের বড় মেয়ের নাম ছিল শাহরাজাদ আর ছোটটির নাম ছিল দুনিয়াজাদ। শাহরাজাদ খুব বুদ্ধিমতি মেয়ে ছিল। তার ইতিহাস সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান ছিল এবং গান বাজনাতেও খুব পারদর্শী ছিল।
একদিন শাহরাজাদ তার বাবাকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে তাকে তার মন খারাপের কারন জানতে চাইলেন। উজির কাঁদতে কাঁদতে বাদশা শারিয়ারের সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন।সব কথা শুনে শাহরাজাদ বাবাকে শান্ত করে বললেন, ‘
তুমি এই সামান্য বিষয়ের জন্য এত চিন্তা করছ কেন। আজ রাতেই তুমি আমার সাথে বাদশা শারিয়ার বিয়ে দিযে দাও। আমার ভাগ্যের কথা ভেবে তোমার উতলা হবার দরকার নেই। আমি যদি সত্যিই তোমার মেয়ে হয়ে থাকি তবে অবশ্যই আমি প্রাণ নিয়ে ফিরে আসবই। আর যদি দেখি কোনভাবেই আমি আমার জীবন রক্ষা করতে পারছি না তখন এমন কাজ করব, যাতে ভবিষ্যতে দুনিয়ার আর কোন মেয়েকে এভাবে মরতে না হয়। পুরো ব্যাপারটা আমার উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পার।
উজির বললেন--‘মা, আল্লাহর দয়া থেকে তুমি বঞ্চিত হবে না, এটুকু ভরসা আমার আছে। তবে একটা কথা । তুমি কিন্তু তোমার আসল পরিচয় নবাবের কাছে গোপন রাখবে
বিয়ের রাতে শাহ্রাযাদ রাজাকে একটা গল্প বলা শুরু করে কিন্তু শেষ করে না। রাজা গল্পের শেষ জানতে এতই আগ্রহী থাকে যে মৃত্যুদণ্ড বিলম্বিত করার সি্দ্ধান্ত নেয়। শাহ্রাজাদ একটা গল্প শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আরেকটা গল্প শুরু করে। পরের গল্পটাও রাতের মাঝে শেষ হয় না। এভাবেই তাঁর মৃত্যুদণ্ড বিলম্বিত হতে থাকে ১০০১ রাত থাকে পর্যন্ত।
A long time ago, an evil tyrannical king named Shariah lived in the Arab country. He married a virgin woman every night because of a ruthless life of his life and killed them before dawn. Thus, in the city, no virgin left in the town to kill a virgin woman every night, except for two daughters of Wazir. Wazir's elder daughter was named Shaharajad and the little girl was named Ninajad. Shahraj was a very intelligent girl. There was a great deal of knowledge about his history and he was also very good at playing music.
One day, when Shahraj saw his father sitting in a bad mood, he asked him for the reason of his heartache. The king weeping at the loud voice said all the events of Shariah. Shahruz said calmly and said,
Why are you thinking so much for this little thing? Tonight let me marry king Shariyah with me. You do not need to be upset about my luck. If I'm really your daughter, then I'll be back with life. And if I see that I can not save my life in any way, I will do such a thing so that in future, no other girl in the world will die in this way. You can not stay away from the whole matter and feel secure.
Wajir said, 'Mother, you will not be deprived of the mercy of God, I have this confidence. But one thing. You will keep your real identity secret from the Nawab
On the night of the wedding, Shahrahad started telling a story to the king but did not finish it. The king is so eager to know the story that he decided to delay the death penalty. As soon as Shahruzad concludes a story, another story begins. The next story does not end in the night. In this way his execution would be delayed until 1001 nights are there.
বিয়ের রাতে শাহ্রাযাদ রাজাকে একটা গল্প বলা শুরু করে কিন্তু শেষ করে না। রাজা গল্পের শেষ জানতে এতই আগ্রহী থাকে যে মৃত্যুদণ্ড বিলম্বিত করার সি্দ্ধান্ত নেয়। শাহ্রাজাদ একটা গল্প শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আরেকটা গল্প শুরু করে। পরের গল্পটাও রাতের মাঝে শেষ হয় না। এভাবেই তাঁর মৃত্যুদণ্ড বিলম্বিত হতে থাকে ১০০১ রাত থাকে পর্যন্ত।