গ্রামপ্রধান বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ আজও গাছগাছড়া ও লতাগুল্ম থেকে ওষুধের ব্যবহারের মাধ্যমে নানারকম রোগব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে , বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশের লোকসংখ্যার একটি বিরাট অংশ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো যেমন-অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষা থেকে কোনো না কোনোভাবে বঞ্চিত। সেখানে উচ্চমূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রশ্নই ওঠে না।
নিকট অতীতেও আমাদের দেশের অধিকাংশ জনগণ সাধারণ রোগবালাই নিরাময়ে ভেষজ গাছ-গাছড়া তথা দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল ছিল। খেয়াল করলেই দেখতে পাই চারপাশের গাছ-গাছড়া, লতাগুল্মের মধ্যে কোনো না কোনো ঔষধি গুণ রয়েছে। ভেষজ উদ্ভিদ এর মাধ্যমে তৈরিকৃত ওষুধ আদিকাল থেকে মানব সমাজ ব্যবহার করে রোগব্যাধি মুক্ত হচ্ছে।
তাইতো রাস্তাঘাটে শেকড়-বাকল বিক্রি হলে মানুষের ভিড় জমে। সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিচর্যার যত চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবিত ও প্রচলিত রয়েছে তার প্রতিটিরই বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে ভেষজ উদ্ভিদ। বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক স্বীকৃত আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা অ্যালোপ্যাথিক নামে খ্যাত। এ চিকিৎসা পদ্ধতির বহু ওষুধ আসে উদ্ভিদ থেকে। উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত ক্যানসার চিকিৎসার ক্যামোথেরাপিতে ব্যাপকভাবে নয়নতারা ও ক্যাকটাস ব্যবহৃত হচ্ছে। আজ ভারতীয় উপমহাদেশের সবক’টি দেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত রয়েছে হোমিওপ্যাথিক, যার অধিকাংশ ওষুধ আসে ভেষজ উদ্ভিদ থেকে।
আমলকী
নিম
বাসক
তেলাকুচা
কালমেঘ
অর্জুন
অশ্বগন্ধা
ঘৃতকুমারী
কালোজিরা
পেঁয়াজ
ওলটচণ্ডাল
কাঠালের বীচি
মেথির
প্রস্রাব করতে গেলে খুব কষ্ট হওয়া
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ উপায়
ব্রেনকে সজীব রাখতে
জন্ডিস হলে কি করনিও
জেনেনিন ১২টি সহজ ভেষজ চিকিৎসা