ভারতের বিভিন্ন উদ্ভিদের ভেষজ গুণ
건강/운동 | 10.1MB
ঔষধি ভেষজ উদ্ভিদ
কিছু উদ্ভিদে ফাইটোকেমিকাল থাকে যা শরীরে কিছু বিশেষ প্রভাব ফেলে। মশলাও আমাদের দেহে নানা রকম প্রভাব ফেলে। অনেক উদ্ভিদ বিষাক্তও হয়ে থাকে। যেমন ধুতরা (Datura metel ) গাছের ফুল এবং ফল পরিমাণমত ব্যবহারে ওষুধের ন্যায় কাজ করে কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে বিষক্রিয়া ঘটায়। এরকম আরও অনেক গাছ আছে যা ভেষজ উদ্ভিদ হলেও অতিরিক্ত ব্যবহারে তা নানা রকম শারীরিক জটিলতা এবং কখনও কখনও বিষক্রিয়া ঘটায়।টেমপ্লেট
বাগানে ভেষজ উদ্ভিদের চাষ
অনেক দিন যাবৎ চীনদেশে চিকিৎসাক্ষেত্রে ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ভিত্তি এইসব ভেষজ উদ্ভিদ। পশ্চিমা দেশে এই ভেষজ চিকিৎসার সূচনা হয়েছিল গ্রিক হিপ্পোক্র্যাটিক চিকিৎসাশাস্ত্রের মাধ্যমে। বিখ্যাত ভেষজ চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইবনে সিনা (পারসীয়), গ্যালেন (রোমান), প্যারাসেলসাস (জার্মান সুইস), কালপেপার (ইংরেজ) এবং ১৯ শতক এবং ২০ শতকের প্রথমভাগের উদ্ভিদবিজ্ঞানে পারদর্শী জন মিল্টন স্কাডার, হার্ভে উইক্স ফেল্টার, জন উরি লয়েড প্রমুখ। যদিও আধুনিককালে ভেষজ চিকিৎসার প্রচলন নেই বললেই চলে তবু এখনও চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক ওষুধ ভেষজ উদ্ভিদ থেকে প্রস্তুত করা হয়।
কিছু কিছু ভেষজ উদ্ভিদে নেশার উপাদানও থাকে। হলোসেনা যুগ থেকে এগুলো ধর্মীয় এবং মানসিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষত গাঁজা এবং কোকো গাছ। উত্তর পেরুভিয়ান সমাজের লোকেরা ৮০০০ বছর আগের থেকে কোকো গাছের পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছে, অন্যদিকে গাঁজা গাছের ব্যবহার হত এর নেশা ধরানোর গুণের জন্য ১ম শতাব্দীতে চীনে এবং উত্তর আফ্রিকায়। বাংলাও এর ব্যবহার দেখা যায়। এছাড়া তামাক পাতাও একই কাজে ব্যবহৃত হত।
অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা তাদের আশপাশের গাছগাছড়া ব্যবহার করে ভেষজ চিকিৎসার প্রভূত উন্নয়ন ঘটিয়েছিল। তাদের বিচ্ছিন্নতা প্রমাণ করে যে তাদের ঔষুধ অনেক কম মারাত্মক অসুখের জন্য বানানো হয়েছিল, পশ্চিমা রোগের সাথে তারা পরিচিত ছিল না। রিভার মিন্ট, ইউক্যালিপটাস এবং ওয়াটল এগুলো ব্যবহার করা হত সর্দি-কাশি, জ্বর, ডাইরিয়া এবং মাথাব্যাথার জন্য।